বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
হামলার পরদিন বুধবার দুপুরে নির্যাতিত ডা. মাসুদ খান এই লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ও একাডেমিক পদেক্ষপ নেয়ার আবেদন জানান।
অভিযোগপত্রে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জনের কথা উল্লেখ করেছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তারা ডা. মাসুদ খানকে মেডিসিন বিভাগের ইউটিন-৪ এর অফিসকক্ষে আটকে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনের অনুলিপি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিস্ট বিভাগীয় প্রধান বরাবর দেয়া হয়। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ও একাডেমিক পদেক্ষপ নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে কি কারণে এ হামলা হয়েছে তা লিখিত অভিযোগে স্পষ্ট করেননি ডা. মাসুদ।
বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বিচার হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন।
হাসপাতালেল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং চিকিৎসক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আলোচনা হয়েছে। মূল ঘটনা খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই চিকিৎসক তাদের নির্ধারিত ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করছেন। বিষয়টি ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন। মঙ্গলবার দুপুরে ডা. মাসুদ খানের কক্ষে গিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর এক পর্যায়ে দুই চিকিৎসক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি তাদেরকে গালাগালও করা হয়। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দলবদ্ধ হয়ে ওই দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায়। তারা ডা. মাসুদের মাথা দেয়ালের সাথে চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিভাগে দায়িত্বরত একাধিক নার্স জানান, মেডিকেলে নিয়ম নেই কোন চিকিৎসক রোগীদের তার নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠাতে পারে। কিন্তু ডা. মাসুদ নার্স থেকে শুরু করে আয়া-বুয়াদের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের নির্ধারিত তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য। না করালে তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখা হবে না বলে রোগীদের সাফ জানিয়ে দিতে বলেন। আর তাদের নির্দেশ না মানলে ওই দুই চিকিৎসক নার্স ও আয়া-বুয়াদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এ কারণে আমরাও তাদের নির্দেশ মানতে বাধ্য হই।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মাসুদ খান বলেন, আমার যা অভিযোগ আমি পরিচালক ও আমার বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে দিয়ে বিচারের দাবি জানিয়েছি। আশা করছি তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply